
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামে এক ব্যক্তির আটককে কেন্দ্র করে বিজিবির সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ ঘটেছে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল ছোড়েন স্থানীয়রা। বিপরীতে গুলি ছুড়ে বিজিবি। এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৮ মে টেকনাফের হ্নীলা বিওপি’র টহলদল একটি বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। সে সময় মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ব্যক্তি বিজিবির অভিযানে বাধা দেয় এবং অবৈধ জনতা জমায়েত করে দেশীয় অস্ত্রসহ বিজিবির ওপর হামলা চালায়।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছ ধরার সময় জাহাঙ্গীর ও কয়েকজন জেলের সঙ্গে বিজিবির বাড়াবাড়ি ও হাতাহাতি হয়। এই ঘটনায় গত ২৮ মে বিজিবির পক্ষ থেকে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে, সোমবার ৯ জুন বিকেলে খারাংখালী বিওপি’র অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি টহলদল জাহাঙ্গীর আলমকে তার নিজ এলাকা নাইক্যংখালী, হ্নীলা ইউনিয়ন থেকে আটক করে।
এদিকে আটকের সময়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ ঘটে। তাদের দাবি, জাহাঙ্গীর একজন জেলে। তিনি কোনো ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত নয়।
টেকনাফ মৌলভীবাজার এলাকার বাসিন্দা মোসা বলেন, জাহাঙ্গীরকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি নিরীহ একজন জেলে। তাকে আটক করায় আমরা প্রতিবাদ করি। এতে আমাদের ওপর গুলি চলানো হয়েছে।
আরেক বাসিন্দা কফিল বলেন, বিজিবি আমাদের ওপর অন্যায়ভাবেই গুলি চালিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে বসে সমাধান করতে পারতো কিন্তু উল্টো আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, এক জেলেকে আটক নিয়ে স্থানীয় ও বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ৭ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক
পাঠকের মতামত